ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় হত-দরিদ্রদের রিলিফের দুম্বার মাংস নেতাদের রান্না ঘরে….

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
এতিমখানা ও হত-দরিদ্রদের জন্যে সৌদি-আরব সরকার কতৃক প্রেরিত দুম্বার মাংস ধনী ও ভোজন প্রিয় নেতা-পাতি নেতাদের রান্নার ঘরেই শোভা পাচ্ছে সবচেয়ে বেশী। চকরিয়া উপজেলার জন্য বরাদ্ধ দেওয়া এসব দুম্বার মাংসের নাগাল পায়নি অধিকাংশ এতিমখানা ও সমাজের হত-দরিদ্ররা।
কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলার হত-দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় সৌদি সরকার এবারও দুম্বার মাংস সাহায্য স্বরূপ প্রেরন করেছে। জেলা থেকে প্রেরিত মাংসের বরাদ্ধকৃত প্যাকেট গুলোর স্ব স্ব উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বন্ঠন করা হয়েছে। বন্ঠনের ক্ষেত্রে এতিমখানা, হাফেজ খানাসহ দরিদ্র জনগোষ্টির মাঝে দুম্বার মাংস বিতরণ করার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এসব প্রতিষ্টান ও ব্যক্তির পরিবর্তে কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান, মেম্বার ও রাজনৈতিক নেতা এবং প্রতিষ্টান প্রধান, সরকারী কর্মকর্তা ও কতিপয় সাংবাদিক নেতাদের কপালেও জোটেছে এসব রিলিফের দুম্বার মাংসের প্যাকেট। অথচ সৌদি সরকার কতৃক প্রেরিত এসব দুম্বার মাংস ধনীদের কপালে জুটলেও জোটেনি হত দরিদ্রদের কপালে।
চকরিয়া উপজেলায় প্রেরিত সেই কাংক্ষিত দুম্বার মাংস প্রথম সারির কিছু নেতা এবং দ্বিতীয় সারির কিছু নেতারা ও গ্রাম্য কিছু অসাধু জন প্রতিনিধিরা মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিজেরা ভক্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে উক্ত কাঙ্খিত দুম্বার মাংস প্রকৃত গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি, এমনকি উপজেলার সরকার নিবন্ধিত ও বেসরকারীভাবে গড়ে উঠা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান ও এতিমখানা গুলোতেও দেওয়া হয়নি। ফলে এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা সদরের মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা। কক্সবাজার জেলার ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা জানান, গরীব-দুঃস্থ ও এতিমদের পরিবারের জন্য সৌদি আরব থেকে ১০ কেজির পরিমাণ প্যাকেট যথা সময়েই পাঠানো হয়েছে কিন্তু কিভাবে বিতরণ করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। প্রত্যেক উপজেলার ইউএনও ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ মাংস ঠিকই গ্রহণ করেছেন। কিন্তু উক্ত মাংস প্রত্যেক ইউনিয়নের জন-প্রতিনিধি, কথিত সংবাদকর্মী ও আওয়ামী লীগ এর নেতারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্র মতে চকরিয়া উপজেলার ২জন সাংবাদিক নেতানামধারী ব্যক্তি সকল সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে ১০ কার্টুন দুম্বার মাংস গ্রহণ করলেও এ পরিমান মাংস তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ফ্রিজে স্থান পাচ্ছে। সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার নেওয়া ১০ কার্টুন দুম্বার মাংস বিতরণে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুম্বার মাংস বিতরণ নিয়ে চকরিয়ায় ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মন্তব্য করতে শুনা গেছে, এ জগতে হায়–সেই বেশী চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত, করে সমস্থ কাঙ্গালের ধন চুরি।

পাঠকের মতামত: